উত্তর ভারতে রামানন্দীদের প্রসারের পরে অযোধ্যা রামের পুজোর প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে। অযোধ্যার বৈষ্ণব তীর্থ হয়ে ওঠার এই প্রক্রিয়ায় অওধের নবাবদের পৃষ্ঠপোষকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবাবী আমলের শেষে হনুমানগড়িকে ঘিরে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত বাবরি মসজিদ ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত করে। এরপরে ফৈজাবাদ-অযোধ্যা জেগে ওঠে মহাবিদ্রোহের উত্তাপে। ডঙ্কা শাহকে বিদ্রোহের নেতা মানতে দ্বিধা করেনি হিন্দু-মুসলিম জনতা। বেইমানি আর বিশ্বাসঘাতকতার সুবাদে জয় পাওয়া ব্রিটিশের সময়ে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গনে স্থায়ী হয়েছে রামের জন্মস্থান চবুতরা। স্বাধীনতার পরেই গভীর ষড়যন্ত্রে চবুতরা ছেড়ে রামলালা পৌঁছে গেছে বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে। প্রায় তিন দশক পরে রাজনীতির প্রয়োজনে খুলেছে তালা, হয়েছে শিলান্যাস, তারপর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে 'ধাঁচা'। এই প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সরকার, প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং সংবাদ মাধ্যম যুক্ত সকলেই। অযোধ্যার থেকে এই সবই তুলে আনা হয়েছে এই বইয়ে। কীভাবে এরমধ্যে ঢুকে পড়ে ক্রমশ সম্পূর্ণ বিষয়টির দখল নিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার, আছে তার গভীর বিশ্লেষণ। একদা রামানন্দীদের কেন্দ্র অযোধ্যা হতে চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের- এমনই মত অযোধ্যার একটা বড় অংশের। 'অযোধ্যার বিনির্মাণ- সমন্বয় থেকে একাধিপত্য' সেই কাহিনীকে তুলে ধরেছে।
Read More
Specifications
Book Details
Publication Year
2024
Dimensions
Width
5.67
Height
8.46
Depth
0.79
Weight
380
Have doubts regarding this product?
Safe and Secure Payments.Easy returns.100% Authentic products.