সুকান্তের কবিতা আজও সমান আদরনীয়। এর প্রধান কারণ, কবিতার বিষয়বস্তু, শব্দচয়নে ও ধ্বনিসৌকর্যে তাঁর অসামান্য দক্ষতা, ছন্দ ও মিলের উপরে তাঁর অসামান্য দখল এবং ঘৃণা ও ক্রোধে সংযত অভিব্যক্তি। এই কাব্যিক গুণাবলী তাঁর কবিতাকে অমর করে রেখেছে। শুধু কবিতা নয়, সুকান্তের সমস্ত রচনার পটভূমি এক নির্মম রাক্ষসীবেলা - যুদ্ধের বিভৎসা, মন্বন্তরের ভয়ালতা, সাইরেন, ব্ল্যাক-আউট, বোমা পড়ার আতঙ্ক, কন্ট্রোল দরে খাদ্য-বস্ত্রের লাইন, আর এর প্রতিস্পর্ধী এক আন্দোলন, এক মতাদর্শ : সাম্যবাদ। ফলে তাঁর কাব্য তথা সমগ্র সাহিত্যচর্চা 'ডিক্লাসমেন্টে'র বার্তাবহ। এটাই তাঁকে করে তুলেছে রবীন্দ্রনাথ-উত্তরকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্য স্রষ্টা। তাঁর সমস্ত কবিতা, গীতিগুচ্ছ, পত্রগুচ্ছ, মায় তাঁর ক্ষুদ্র সাহিত্য জীবনের প্রায় সমস্ত লেখা নিয়েই এই 'সমগ্র'। পাশাপাশি, এই বইটিতে আছে সুকান্ত-পাঠের এক নাতিদীর্ঘ গাইডলাইন; লেখাটি বইটির মুখবন্ধের পরিবর্তে রচিত, যা এই বইয়ের একটি সম্পদ।