এই উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা এসেছে দেশভাগকে সাথে নিয়ে। আর দেশভাগের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে দাঙ্গা, হিংসা, জীবনহানি ও বাস্তুভিটে ত্যাগ করার মর্মযন্ত্রণা। ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াতে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার বিষয়টি ছিল গৌণ। মুখ্য হয়ে উঠেছিল যেনতেন প্রকারেণ ক্ষমতা দখল। তাই ১৯৪৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা-সমঝোতার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ভারতকে ভাগ করে দুটি সার্বভৌম দেশের জন্ম দেওয়া হয়। ক্ষমতাদখলের রাজনীতির জটিল আবর্তে পড়ে বাংলা ও পাঞ্জাবে যে বিভাজন ঘটে ছিল আজ থেকে পঁচাত্তর বছর আগে তা অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনে। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে দেশের বিভাজনের ফলে অগণিত মানুষ এক লহমায় ‘নিজভূমে পরবাসী’ হয়ে যান। দেশভাগের পর থেকে উদ্বাস্তুদের অধিকার অর্জনের যে লড়াই চলছে তা নানা বাঁক ও মোড়ের মুখোমুখি হয়েছে। জবরদখল কলোনি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব অর্জনের লড়াইয়ের এই জটিলতা ও বহুমাত্রিকতাকে দুই মলাটের মধ্যে ধরে ফেলা নিঃসন্দেহে খুব দুরূহ কাজ। তবু এই কাজে ইউসিআরসি আন্তরিকতার সাথে অগ্রসর হয়েছে কেননা বাস্তুহারা মানুষের অধিকার অর্জনের সংগ্রাম স্বাধীনতা- উত্তর ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই প্রকাশনাটি যতটা না একটি গ্রন্থ, তার চাইতে অনেক বেশি একটি জীবন্ত দলিল। বাংলার সমাজজীবনের প্রবহমানতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। আন্দোলনের শরিক বন্ধুরা এবং পাঠকবৃন্দের এই প্রকাশনাটি কাজে লাগবে।
Read More
Specifications
Book Details
Publication Year
2024
Dimensions
Width
5.31
Height
8.39
Depth
0.63
Weight
350
Have doubts regarding this product?
Safe and Secure Payments.Easy returns.100% Authentic products.